পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার ধারে কাছেও আমি নেই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি। আজ সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে আজ বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এসে উপস্থিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
সম্প্রতি ‘দেশের মানুষ বেহেশতে আছে’- এমন বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে নতুন করে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।ক্ষমতাসীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সিলেট আওয়ামী লীগেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তিনি। তবুও দলের শীর্ষ মহল থেকে বলা হচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি করেছেন।
সবশেষ রবিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশের ক্ষমতায় রাখা নিয়ে ভারতের সহযোগিতা চেয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানানো হয়।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি। যদিও সমালোচনার মুখেও তিনি নিজের অবস্থানে অনড় আছেন। তবে গণমাধ্যমে তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মনে করেন আব্দুল মোমেন।