দাবি আদায়ে ১৯ দিন কর্মবিরতি ও ধর্মঘট পালনের পর রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের উত্তোলন করা পাতা যাচ্ছে ফ্যাক্টরিতে। এতে বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
সাধারণ শ্রমিকরা জানান, শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা-বাগানের মালিকদের বৈঠক হয়। বৈঠকে নতুন করে দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ খবর ঘোষণার পর হবিগঞ্জের চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফেরার মতপ্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এখানে শ্রমিকদের প্রত্যাশা তারা যেন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। নতুন মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নতুন মজুরিতে শ্রমিকরা খুশি।
উল্লেখ্য, ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল চা শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে শ্রমিকরা ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কর্মবিরতি ও ধর্মঘট পালন করেন। অবশেষে নতুন দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ঘোষণায় ধর্মঘটের অবসান হয়েছে।